প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'অসত্য নিউজ পরিবেশনা, গুজব রটানো এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশকিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।'
-চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'এছাড়া অসত্য নিউজ পরিবেশনা, গুজব রটানো এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও বেশকিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'
'বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, বর্তমানে ঢাকা জেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকার সংখ্যা ১১২৬টি। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকা ৪৯৯টি, সাপ্তাহিক ৩৪৫টি ও মাসিক ২৮২টি।'
২০২৩ সালের জুনে বিদ্যুতায়নের আওতায় শতভাগ মানুষ
-চট্টগ্রাম-৩ আসনের মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, ২০০৯ সালের আগে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধাভুক্ত মানুষ ছিল ৪৭ শতাংশ। গত ১৩ বছরে অবশিষ্ট ৫৩ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এনে শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
-প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকাগুলোতে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।'
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম এলাকা বাদে দেশের সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়েছে।
অসত্য নিউজ পরিবেশনা, বন্ধ হতে যাচ্ছে বেশকিছু নিউজ পোর্টাল
'গণফোরামের মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ প্রদান করার জন্য সরকার প্রতি বছর ক্যাপটিভ রেন্টাল বা ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভর্তুকি প্রদান করে। গত ২০১৯৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৭১৪ কোটি ৭৭ লাখ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে এক হাজার ৩৭৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।'
'নাটোর-২ আসনের শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী মোট প্রাথমিক গ্যাস মজুতের পরিমাণ ৩৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুতের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। শুরু থেকে গত ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন গ্যাস উত্তোলনের পরে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মজুতের পরিমাণ ৯ দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।'
'সরকারি দলের মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রে দৈনিক গড়ে দুই হাজার ৩০৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। বর্তমানে আটটি গ্রাহক শ্রেণির অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী দৈনিক চাহিদা ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্র থেকে উৎপাদন কম হওয়ায় দৈনিক প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।'
সরকারি দলের বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'দেশে বর্তমানে উৎপাদনরত ২০টি গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস কূপের সংখ্যা ১০৭টি। সর্বশেষ আবিষ্কৃত জকিগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুত ৫৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ঘনফুট।'
'চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ‘কর্ণফুলী পেপার মিলের উৎপাদিত চার হাজার ৯৫ মেট্রিক টন কাগজ অবিক্রিত রয়েছে।'